ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না : খালেদা জিয়া

khaleda-ziaঅনলাইন ডেস্ক ::

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সরকারের মতামত না শোনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। একইসাথে তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এই জালিম সরকারকে বিতাড়িত করা শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব নয়। এজন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকার আপনাদের কাছে যা কিছু আবদার করবে, আপনারা তা বাস্তবায়ন করবেন না। আপনারা জনগণের মতামত নেবেন, সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে তবেই যেটা সকলে মতামত দেবে, সেটার ভিত্তিতে আপনারা নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করবেন। আমরা দেশে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে, তাদের পায়ের নিচে মাটি আছে কি-না, জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক আছে কি-না সেটা প্রমাণ হবে।

আজ শনিবার এক ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব বলেন।

রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্মানে খালেদা জিয়ার উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়।

এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

বেগম খালেদা জিয়া প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, করের বোঝার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে। দেশের মানুষের প্রতিনিয়ত এতো সমস্যা, তার মধ্যে একটা বাজেট দিয়েছে, তাতে যেভাবে কর বসানো হয়েছে। এতে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। এই বাজেটের ফলে দুর্নীতি করার সুযোগ হয়েছে। আরো বলছে যে, গ্যাসের দাম আবার বাড়বে। বুঝতে পারছেন, সরকার কী করতে চায়? এই সরকার হলো জনগণ বিরোধী সরকার। তাদের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই। সেজন্য জনগণের সমস্যা, জনগণের কষ্ট তাদের চোখে পড়ে না। খালেদা জিয়া সরকারকে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর আহবান জানান।

তার দেয়া ‘ভিশন-২০৩০’ এর কথা উল্লেখ করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তা বাস্তবায়ন হলে দেশে আগামীতে সমস্যা থাকবে না।

দেশের অর্থ পাচারের অভিযোগ করে তিনি বলেন, যেভাবে টাকা পাচার হচ্ছে, সম্পদ পাচার হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, তার সাথে জড়িত সরকারের লোকজন। যারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

সরকারের প্রতি আহবান রেখে খালেদা জিয়া বলেন, আমি বলব- এই রমজান মাসে জুলুম নির্যাতন বন্ধ করুন, অন্যায় বন্ধ করুন। দেশে গণতন্ত্রকে ফিরে আসার সুযোগ দিন। আমরা মনে করি, গণতন্ত্র তখনই ফিরে আসবে, যখন দেশে একটা সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং সকলের অংশ গ্রহনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না উল্লেখ করে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান তিনি।

ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়ার সাথে মঞ্চে ছিলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া ইফতারে অংশ নেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর মো. নাছির, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিনু, উপদেষ্টাদের মধ্যে- আমানউল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, আতাউর রহমান ঢালী, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আবদুল কাইয়ুম, কবীর মুরাদ, সঞ্জীব চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ইসমাঈল জবিউল্লাহ, জাসাস সভাপতি ড. মামুন আহমেদ, আ ন হ আক্তার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে- হারুনার রশীদ, উকিল আবদুস সাত্তার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আমিনুল হক, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, ডা. ফাওয়াজ শুভ, আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আব্দুল আউয়াল খান, খন্দকার মাশুকুর রহমান, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, নাজিমউদ্দিন আলম, রফিক সিকদার, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জেড মোর্তুজা চৌধুরী তুলা, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোস্তফা খান সফরী, ওমর ফারুক সাফিন, দুলাল হোসেন, একরামুল হক বিল্পব, বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা সভাপতি তৈমুর রহমান খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা বিএনপি নেতা পয়গাম আলী, শরীফুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি সেক্রেটারি কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর নেতাদের মধ্যে কাজী আবুল বাশার, এজিএম শামসুল, শেখ রবিউল আলম রবি, অঙ্গসংগঠনের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মাহবুবুল হাসান পিঙ্কু, আনোয়ার হোসাইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, হাফেজ এম এ মালেক, বিএনপি নেতা ইয়াজ্জেম হোসেন রেমান, ছাত্রদলের রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসান সহ বহু নেতাকর্মী।

পাঠকের মতামত: